বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগলে ঘরোয়া চিকিৎসা

বাংলাদেশে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগা এখন খুবই স্বাভাবিক ঘটনায় রুপ নিয়েছে। শীত থেকে গরমকালে বা গরমকাল থেকে শীতকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় প্রায়ই বাচ্চাদের সর্দি-ঠাণ্ডা লাগে। এছাড়া অতিরিক্ত গরমেও বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগতে পারে। বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগার কারণ জানতে বাচ্চাদের যেসব কারণে ঠাণ্ডা লাগে এই পোস্টটি পড়তে পারেন।

ছোট বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগলেই যে দৌড়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তা কিন্তু নয় বিষয়টা। বাচ্চার বাবা-মার বুঝতে হবে কোন ঠাণ্ডা বাচ্চার জন্য বিপদজনক, আর কোনটা সাধারণ ঠাণ্ডা। এটা বুঝতে পারলে বাসাতেই সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে ঠাণ্ডা ভালো করা সম্ভব।

এছাড়া ঠাণ্ডা কাশি হলেই ডাক্টারের কাছে কিংবা এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো উচিত নয়। একজন শিশুকে বছরে দুই বার এন্টিবায়োটিক দেওয়া যায়। এর বেশি এন্টিবায়োটিক দেওয়া কোনোভাবেই উচিত নয়। তাই হালকা ঠাণ্ডা-সর্দি-কাশি লাগলে ঘরোয়া ভাবেই এর সমাধানের চেষ্টা করা উচিত।

বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লাগলে ঘরোয়াভাবে কিছু চিকিৎসা করা যায়। নিচে তা বর্ণনা করা হলো।

সরিষার তেল ব্যবহার:

সরিষার তেল অতি প্রাচীনকাল থেকে এদেশে শিশুদের গায়ে মালিশের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। হালকা ঠাণ্ডা-কাশি হলে সরিষার তেল মাথার তালু হাতে পায়ের তালুতে দেয়া যেতে পারে। এতে ধীরে ধীরে ঠাণ্ডা কমে আসবে।

তেল রসুনের ব্যবহার:

সরিষার তেলের সঙ্গে রসুনের কোয়া ও কালোজিরা আগুনে গরম করে সেই তেল গায়ে হাতে পায়ে মাখলে ঠাণ্ডা কাশি কমে যায়।

তুলশী পাতার রস ব্যবহার:

তুলশী পাতা চিপে রস বের করে দিনে দুই তিন বার শিশুকে খাওয়ালে ঠাণ্ড কমে যায়। তুলশী পাতার রস সুমিষ্ট না হওয়া এটি শিশুদের খাওয়াানোর জন্য চিনি বা মধু মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে।

মধুর ব্যবহার:

সর্দি-ঠাণ্ডা কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ঘরোয়া চিকিৎসা হচ্ছে মধু। এক টেবিল চামচ হালকা গরম পানির সঙ্গে ৩-৪ ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে তিন চার বার খাওয়ালে সর্দি-ঠাণ্ডা কমে যায়। এছাড়াও মধুর অনেক উপকার রয়েছে। মধুর উপকার জানতে মধুর যত গুণ এই পোষ্টটি পড়তে পারেন।

নরসল ড্রপ ব্যবহার:

বাজারে ২৫-৩৫টাকায় কিনতে পাওয়া যায় Norsol drop. পানিতে লবন মেশানো এই ড্রপে পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর শিশুর নাকে দুই ফোঁটা করে ব্যবহার করতে পারেন। সর্দি-ঠাণ্ডা প্রাথমিক অবস্থায় থাকলে এতে সেরে যাওয়ার কথা। নরসল ড্রপের ব্যবহার বিধি ও উপকারিতা বিস্তারিত জানুন এই পোস্ট থেকে।

উপরের সব দাওয়া সর্দি ঠাণ্ডার প্রাথমিক পর্যায়ের। ঠাণ্ডা বেশি হলে বা এক-দুই সপ্তাহের বেশি হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। মনে রাখবেন আপনার শিশুর নিরাপত্তাই আপনার সর্বাগ্রে থাকা দরকার।

Lovely Azad: I am Lovely Azad, a girl, wife and Mom. Also I am a Passionate Blogger and Social Media Expert. I love to write about kid, mom, food and any social trend. Please read and express your views about my write up.
Related Post