সুস্বাদু আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানোর সহজ রেসিপি

সহায়ক খাবার হিসেবে আলু এই জনপদের মানুষের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বাঙালির তরকারিতে এক বেলা আলু না হলে যেনো চলেই না। যে কোনো তরকারিতে আলু দিয়ে চালিয়ে নেওয়া যায়। তাছাড়া আলুতে পুষ্টির যে সুষম বণ্টন হয়, সেজন্য আলু বাচ্চাদেরও খাওয়ানো যায়।

আলুতে ভাতের মতো অতিরিক্ত শর্করা থাকে না, এর পরিবর্তে শর্করার পাশাপাশি আলু নানা ধরনের ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা মেটায়। পাশাপাশি খাদ্য আঁশ থাকায় আলু হজমে সহায়ক এবং রক্তে শর্করার হার ঠিক রাখে। আলুর গুণাগুণ জানার জন্য দেখুন আলু খাওয়ার উপকারিতা ও আলুর গুনাগুণ পোস্টটি।

আলু শুধু তরকারিতে না খেয়ে বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অত্যন্ত মজাদার একটি খাবার। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পরিবারের জন্য শুধু বিকালের নাস্তায় নয়, বরং বাচ্চাদের জন্যও দিতে পারেন। এতে শিশুদের বাইরের জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যাস হবে না। শিশুদের আলু খাওয়ানোর বিভিন্ন উপায় জানার জন্য বাচ্চাদের যেভাবে আলু খাওয়াবেন পোস্টটি দেখুন। কথা আর না বাড়িয়ে দেখে নিই কিভাবে বানাবেন মজাদার আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই

আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরিতে কি কি লাগবে

# বড় দেখে ৩ টি আলু নিন
# লবন স্বাদমত
# তেল এক পোয়া

আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানোর পদ্ধতি

দুইভাবে আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানো যায়। ১ম পদ্ধতিতে একবারেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানো শেষ। আর দ্বিদীয় পদ্ধতিতে ১ম বার হালকা ভাজার পর, কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখতে হয়, এরপরে আবার ভাজতে হয়। দুটি পদ্ধতিই নিচে দেখানো হলো।

১ম পদ্ধতি

১ম পদ্ধতিতে কিভাবে আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাতে হয়, তা দেখানো হলো।

১ম ধাপ

আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তেরি করতে প্রথমে আলু ৩টিকে ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর চাকু অথবা বটি দিয়ে উপরের চোকলা/খোসাগুলো ছাড়িয়ে নিন। এবার লম্বা করে চিকন করে কেটে নিন ৩টা আলু থেকে যতগুলো হয়।

২য় ধাপ

এবার একটি প্যানে পানি বল্ক উঠিয়ে তার ভিতর আলুগুলো কে ছেড়ে দিন। সাথে পরিমান মত লবন দিয়ে দিবেন। আলু সিদ্ধ হওয়ার সময় লবণটা আলুর মধ্যে মিশে যাবে। ৮-১০ মিনিটের মধ্যেই আলু সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। সিদ্ধ হলে একটি চালনিতে নামিয়ে ফেলুন। পানি ঝরিয়ে একটি প্লেটে টিস্যুর উপর রাখুন যেন সম্পূর্ণ পানি ঝরে যায়।

৩য় ধাপ

২/৩ মিনিট পর ফ্রাই প্যান গরম হলে তেল ঢেলে দিন এবং আলুগুলো কে মিডিয়াম আচে ভাজতে থাকুন।৩/৪ মিনিট ভাজা হলে আলুর রঙ বাদামি হয়ে যাবে। আপনি দেখেই বুঝতে পারবেন ভাজা হয়ে গেছে। ভাজা হলে আলু তুলে টিস্যুর উপরে রাখুন, যেন আলু থেকে তেল শুষে নেয়। খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আপনার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। সস দিয়ে খেতে পারেন মজার ফ্রাই।

দ্বিতীয় পদ্ধতি

২য় পদ্ধতিতে আলু ফ্রাই করার জন্য ১ম পদ্ধতির মতোই কাজ করতে হবে। ১ম পদ্ধতিতে ৩য় ধাপে এসে আপনি আলুগুলোকে ভেজে ফ্রাই বানিয়ে ফেলেন। কিন্তু দ্বিতীয় পদ্ধতিতে আপনি ফ্রাই বানিয়ে ফেলবেন না। হালকা ভেজে তুলে ফেলুন। এরপর ফ্রিজে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।

১৫ মিনিট পর ফিজ থেকে বের করে পুনরায় আবার ভাজতে হবে। এজন্য প্যানের তেল গরম হলে চুলার মিডিয়াম আচে আলু ভাজতে হবে। আলুতে যখন বাদামী রং চলে আসবে তখন তুলে ফেলতে হবে।

এভাবেই হয়ে যাবে বিকালের নাস্তার আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এবার সুন্দর একটা থালায় সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

রেসিপিটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন। এছাড়াও নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন আমাদের ওয়বসাইটটি।

Lovely Azad: I am Lovely Azad, a girl, wife and Mom. Also I am a Passionate Blogger and Social Media Expert. I love to write about kid, mom, food and any social trend. Please read and express your views about my write up.
Related Post