‘আমাকে ভয় দেখাও?’ শীর্ষক কবিতা। ইসলামী পুনর্জাগরণের এই কবিতাটি ফেসবুক থেকে নেয়া। লেখক কে তা জানা যায়নি। জানতে পারলে অবশ্যই তার নাম দিয়ে দেয়া হবে। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের।
আমাকে ভয় দেখাও ?
আমি তো হাবিলের ধুলোয় মিশানো রক্তকণিকা
করাতের আঘাতে দ্বিখণ্ডিত যাকারিয়া (আঃ)র ফিনকি দেয়া রক্তবিন্দু !
আমি নীল সাগরে পতিত ফেরাউনের ভয় মুসা (আঃ) এর উত্তরসুরী।
আমাকে ভয় দেখাও ?
আমি তো নমরুদের জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষিপ্ত
ইবরাহিমের সাহসী সন্তান
ছুরির নিচে শায়িত ঈসমাইলের আল্লাহর প্রেমের
নজরানা।
আমাকে ভয় দেখাও ?
আমি তো উত্তাল তরঙ্গ মালায় ভাসমান নুহ (আঃ) কিস্তির যাত্রী।
কাল থেকে কালান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে
ভাসতে ভাসতে যে কিস্তি নোঙ্গর ফেলেছে নয়া যামানার তীরে।
আমি সেই কিস্তির ভয় শংকাহীন নাবিক।
আমি জিবরাইলের আনিত শাশ্বত বিধান
আল কুরআনের ধারক-বাহক
শে’রে আবু তালিবে বন্দি মুহাম্মদ(সঃ)র নির্যাতিত উম্মত।
বদর,ওহুদ,খন্দকে যে সৈনিকেরা
আবু জেহেলদের নাস্তানাবুদ করেছে, আমি তাদেরই একজন।
আমি মুতার প্রান্তরে হস্ত কর্তিত সেনাপতির উড্ডিন পতাকা।
আমাকে ভয় দেখাও ?
আমি সাইয়েদুস শুহাদা আমির হামজার ছিন্নভিন্ন কলিজা,
বাসরঘর ছেড়ে পালানো শহীদ হানজালার ভাই।
আমি আবু বকরের দরদ দিল
আমি উমরের ক্ষীপ্ত হস্ত
আমি উসমানের মুক্ত দান
আমি শেরে খোদা হযরত আলীর বিচক্ষণ জ্ঞান।
আমি শহীদ তিতুর বাঁশেরকেল্লা
তলোয়ার আমি শাহ জালালের
আমি খান জাহান আলীর দূর্ভেদ্য দুর্গ
জীবনের পরওয়া নাহি কোনো কালের।
আমি, খুব জেনেশুনেই পথ ধরেছি সিরাতুল মুস্তাকিমের
এই পথ বড় পিচ্ছিল,কন্টকাকীর্ণ
কত হাজার বছর ধরে এই পথ আমি মাড়িয়েছি
কত শত লক্ষ হাজার সাথীকে এই পথে আমি হারিয়েছি
আমার পা সিক্ত হয়েছে আমারই হারিয়ে যাওয়া সাথীদের লহুতে।
তোমরা আমাকে বশীকরণ করতে চাও
আমি সারা দুনিয়াকে বশীকরণ করতে আমরণ লড়ছি।
আমি বিষাক্ত বাতাসের গতিবেগ পাল্টে দিতে অবিরত লড়ছি।
আমি মহা সমুদ্রে স্রোতের বিপরিতে অবিচল বৈঠা নাড়ছি।
আমি হিংসুক-নিন্দুকের সব কথা পুঁজি করে চলছি।
আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখাও !
অথচ, মৃত্যু আমাকে দেখে পালিয়েছে সেদিন-
যেদিন মুখে বলে দিয়েছি -আল্লাহ এক
যেদিন বুকে গেঁথে নিয়েছি এই মূল মন্ত্র
যেদিন আমার সকল কর্মের লক্ষ্য স্থির করেছি আল্লাহর সন্তুষ্টি।
ঈমানের পথে অবিচল থাকার শপথ নিয়েছি।
Leave a Reply