গর্ভকালীন সময়ে নারীদের সমস্যার অন্ত নেই। একটা সমস্যা তো আরেকটা। গর্ভবতী নারীদের অনেক সমস্যার মধ্যে একটা হচ্ছে ঘুম না হওয়া। গর্ভবতী অবস্থায় পর্যাপ্ত না ঘুমাতে পারলে এর খারাপ প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ শিশুর উপর। ভ্রুণের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
গর্ভবতী মায়েদের ঘুম সমস্যা সাধারণত দেখা দেয় ৬/৭ মাস পর থেকে। তবে সবারই যে একইসময়ে ঘুম কম হবে তা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মায়েদের এই সময়ে ঘুম আসে না। একদমই বিছানায় থাকতে ইচ্ছা করে না।
গর্ভকালীন ৬-৭ মাস সময়ে যেখানে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত, সেখানে দেখা যায় দিনরাত মিলিয়ে ৬ ঘণ্টাও ঘুম হয় না। কেন ঘুম হয় না এটা সে নিজেও জানে না। এসময় এমনিতেই ঘুম আসতে চায় না। এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসে বা শুয়ে থাকতে কোনোটাই ভাল লাগে না। মন চায় হাঁটাহাঁটি করতে।
ঘুম বাড়ানোর উপায়
নিজের ইচ্ছাশক্তি আর কিছু ব্যায়াম ছাড়া ঘুম বাড়ানোর প্রাকৃতিক কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি অভিজ্ঞতার আলোকে ঘুম বাড়ানোর জন্য কয়েকটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করছি। আপনিও প্রয়োগ করে দেখতে পারেন আপনার কোনো কাজে আসে কি না।
মানসিকভাবে শক্ত থাকা
ঘুম বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় মানসিকভাবে শক্ত থাকা। আপনার মনোবল যদি শক্ত থাকে যে যত কষ্ট আর সময় লাগুক না কেনো আমি পর্যাপ্ত ঘুমাবো। তাহলে দেখা যাবে এই মনোবলের জোরেই বেশি সময় ঘুমাতে পারছেন।
শুয়ে শুয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা
আপনার হয়তো বিছানায় শুয়ে থাকতে ভালো লাগবে না। কিন্তু আপনার অনাগত সন্তানের ভালোর জন্যই আপনাকে চেষ্টা করতে হবে ঘুমানের জন্য। এজন্য আপনাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে হবে। ঘুম না আসতে চাইলেও ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। কারণ না ঘুমালে শরীর দূবল হয়ে পড়বে। ঘুম না আসলেও বিছানায় শুয়ে বিশ্রাম নিতে হবে।
শারীরিক ব্যয়াম করে ক্লান্ত হওয়া
গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য বেশকিছু ব্যয়াম আছে। এই ব্যয়ামগুলো করলে গর্ভের ফিটনেস ঠিক থাকে, আবার নিজেরও কোনো সমস্যা হয় না। প্রয়োজনে এমন কিছু ব্যয়াম করে শরীর ও মনে ক্লান্তি আনতে পারে বিছানায় যাওয়ার আগে। এতে হয়তো আপনার ঘুমের পরিমান কিছুটা বাড়তে পারে।
ঘুমানো সহায়ক আরো কিছু কাজ
ঘুম না আসলে সময় কাটানোর জন্য বই পড়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন হাদিস এর বই, গল্পের বই, কোরআন তেলাওয়াত। বই পড়তে গেলে তো কম বেশি সবারই ঘুম আসে। তাহলে সময়ও কাটানো হবে, কিছু জানাও যাবে। আবার ঘুমও চলে আসবে তাড়াতাড়ি।
গর্ভকালীন সময়ে ভালমন্দ দেখার জন্য কাউকে না কাউকে কাছে কাছে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে তার স্বামী সবচেয়ে কাছের যিনি তার কেয়ার সবচেয়ে বেশি করতে পারবেন।
Leave a Reply