gazor-juice

গাজরের জুসঃ কিভাবে বানাবেন, কেন খাবেন?

গাজর এমন একটি মজার সবজি যা খুব সহজেই বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। সালাদ বা সবজি করে কিংবা সামান্য লবণ মেখেই গাজর খাওয়া যায়। তাছাড়া গাজরের হালুয়া, গাজরের পায়েস, গাজরের জুস বানিয়েও গাজর খেতে পারেন।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা গাজর থেকেই সর্বোচ্চ পুষ্টিটা পাওয়া সম্ভব। অন্য উপায়ে গাজরের পুষ্টি পুরোটা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই কাচা গাজরের পাশাপাশি আপনি গাজরের জুস বানিয়ে খেলেও সর্বোচ্চ পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারেন।

গাজরের জুস বানানোর প্রক্রিয়া দেখানো শুরুর আগে আরও দু’একটি কথা বলে নিতে চাই।

আপনার সব সময় গাজরের জুস খেতে ভাল লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। এজন্য আপনি গাজরের পায়েস বানিয়ে খেতে পারেন। গাজরের পায়েস বানানোর জন্য গাজরের পায়েস বানানোর সহজ রেসিপি লেখাটা পড়ে নিতে পারেন।

এছাড়াও আপনি গাজরের হালুয়াও বানিয়ে খেতে পারেন। এটিও অনেক সুস্বাদু খাবার। আর গাজরের হালুয়া বানানোর প্রক্রিয়াও অনেক সহজ। গাজরের হালুয়া কিভাবে বানাতে হয় তা না জানলে দেখে নিতে পারেন: গাজরের হালুয়া বানানোর সহজ রেসিপি লেখাটি।

হালুয়া, পায়েস ছাড়াও গাজর অনেকভাবে খাওয়া যায়। আরও কিভাবে গাজর খেতে পারেন তা জানতে ক্লিক করতে পারেন: গাজরের ৫ রেসিপি লেখাটিতে। এছাড়া আপনি যদি না জানেন গাজরে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবে আপনাকে অবশ্যই পড়তে হবে গাজরের পুষ্টিগুণ লেখাটি।

অনেক তো কথা হলো, এবারে দেখে নেওয়া যাক গাজরের জুসের রেসিপি। আর সহজে কিভাবে জুস বানাবেন তা দেখিয়ে দেব।

গাজরের জুসের রেসিপিতে যা যা থাকবে:

১. গাজর লাগবে ২টি
২. পানি ১-২ গ্লাস
৩. চিনি নিন কয়েক চামচ (মিষ্টি পছন্দ করলে বেশি)
৪. কয়েক টুকরো লেবু নিতে পারেন স্বাদে ভিন্নতা আনার জন্য

গাজরের জুস বানানোর প্রক্রিয়া:

# গাজরের জুস বানানো একেবারেই সহজ। প্রথমেই গাজর দুটি ধুয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে নিন।
# এরপরে গাজরের টুকরো একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে তার মধ্যে চিনি দিয়ে পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। একটু পরেই দেখবেন চমৎকার রঙের জুস তৈরি হয়ে গেছে।
# আপনার পছন্দ মতো চিনি, পানি কম বেশি করে নিতে পারেন। এটা কোনো সমস্যা নয়। আর বেশি পরিমানে জুস বানাতে চাইলে গাজর বেশি করে দিন।
# ছাকনি দিয়ে ছেঁকে জুসের মধ্যে লেবুর রস দিয়ে গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:  শিশুর বদহজম, হালকা ডায়রিয়া, আমাশয় হলে করণীয়

আরও কিছু কথা:

# দুটি গাজরের জুস ৩জনে অনায়াসে খেতে পারবেন।
# জুসে কয়েক টুকরো বরফ মিশিয়ে দিতে পারেন, এতে ঠাণ্ডা হবে ও স্বাদে ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
# এছাড়াও আপনি চাইলে আদা দিতে পারেন দুই-এক চিলতে। এতে জুসে নতুন স্বাদ যোগ হবে।
# কিন্তু এসব কোনো কিছুই জরুরি নয়। মূল রেসিপি আগেই দিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস স্বাস্থ্যের উন্নতি করে কয়েকগুণ। গাজরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে উপকারটি তা হলো দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া। এ ছাড়াও আছে আরও অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *