গাজর বরাবরই মজার একটি সবজি। গাজর রান্না করে যেমন খেতে পারেন, তেমনি কাঁচাও খেতে পারেন। পুষ্টিকর এই সবজিটি সিজনাল হলেও, এখন সারা বছরই রাজধানীতে গাজর পাওয়া যায়। তাই ইচ্ছেমতো আপনি গাজর দিয়ে পুষ্টির একটি অংশ পূরণ করতে পারেন।
গাজর কাচা খাওয়া গেলেও, সবসময় আপনার কাচা খেতে মন চাইবে না। আর বাঙালি তো ভোজন রসিক এ আর নতুন কি? আমরা এই লেখায় নিয়ে এসেছি কিভাবে গাজর দিয়ে পায়েস রান্না করতে হয়।
গাজর দিয়ে পায়েস রান্না করা কঠিন কিছু নয়, কিন্তু গাজরের পায়েসের স্বাদটা পাবেন অসাধারণ। তো গাজরের পায়েস রান্না করার রেসিপি দেয়ার আগে গাজর নিয়ে আর কিছু কথা বলে নিতে চাই।
গাজরে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ পাওয়া যায়, গাজর খেয়ে শরীরের ডায়েট করা যায়, গর্ভবতী নারীদের গাজর অনেক উপকার করে। এছাড়া ত্বকের পরিচর্যায় গাজর বহুল ব্যবহৃত। আর গাজরে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়, এটা তো বলাই বাহুল্য। গাজরের পুষ্টিগুণ জানার জন্য দেখুন: গাজরের পুষ্টিগুণ ও আমাদের শরীরের কি কি উপকারে আসে।
আপনি গাজরের পায়েস ছাড়াও আরও কয়েকভাবে গাজর খেতে পারেন। গাজরের হালুয়া আরও একটি সুস্বাদু খাবার। গাজরের বিভিন্ন পদের জন্য দেখুন: গাজর খাওয়ার ৫টি মজাদার উপায়।
অনেক তো কথা হলো। আর দেরি না করে এবারের সরাসরি চলে যাবো গাজরের পায়েসের রেসিপিতে। আমরা এক পোয়া/২৫০ গ্রাম গাজর দিয়ে পায়েস বানাতে কি কি লাগে এবং কিভাবে বানাতে হয় তাই দেখাবো।
গাজরের পায়েস রান্না করতে কি কি লাগবে
১. এক পোয়া/২৫০ গ্রাম গাজর
২. এক পোয়া চিনি
৩. ২টা এলাচ
৪. ১ খণ্ড দারুচিনি
৫. পরিমানমতো লবন
৬. আধা কেজি দুধ
গাজরের পায়েস রান্নার প্রক্রিয়া

# প্রথমে এক পোয়া পরিমান গাজর ধুয়ে চিক চিক করে কেটে নিতে হবে। গাজরটা পাতলা করে কাটতে হবে।
# এরপরে ফুটন্ত পানিতে চিক চিক করা গাজরগুলো কে ছেড়ে দিয়ে ৭/৮ মিনিট ধরে হালকা সিদ্ধ করতে হবে।
# হালকা সিদ্ধ হলে নামিয়ে দুধ জ্বাল দিয়ে টগবগিয়ে ফুটলে, গাজর ছেড়ে দিন আর নাড়াচাড়া দিতে থাকুন। এলাচ দারুচিনি দিয়ে দিন। স্বাদ মত লবণ দিয়ে দিন। এরপর চিনি দিয়ে দিন।
# এভাবে ১৫/১৬ মিনিট রান্না করতে হবে। গাজর পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে এলে মিষ্টি ও লবণ ঠিক থাকলে এবং পায়েস ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন।
গাজরের পায়েস রান্না শেষে আরও কিছু কথা:
তবে মিষ্টি বেশি খাবেন না কম খাবেন তার উপর নির্ভর করে আপনি চিনি কম বেশি করে দিতে পারেন। চাহিদার উপর। রান্না শেষ হয়েছে আপনার মজার গাজরের পায়েস। নামিয়ে মৃদু ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।
উপরের গাজরের পায়েসের রেসিপিটি খুবই সহজ করে নতুন রাধিয়েদের জন্য দেয়া হয়েছে। আপনি একবার সুন্দরভাবে সহজ করে রান্না করতে পারলে এরপরে আর ভিন্নভাবে রান্না করতে পারবেন। এরপরে আপনি পায়েসে কিসমিসসহ আরও অনেক কিছু দিয়ে গাজরের পায়েসের স্বাদ বৃদ্ধি করতে পারবেন। কিন্তু প্রথম কাজ হচ্ছে গাজরের পায়েস মৌলিকভাবে রান্না করা। আমরা এই জন্যেই সহজ একটি রেসিপি দেয়ার চেষ্টা করেছি। তো আপনার পায়েস রান্না কেমন হলো কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। অপেক্ষায় থাকলাম।
Leave a Reply