gazor-vegitable-food

গাজরের ৫ পদের রেসিপি/ গাজর খাওয়ার বিভিন্ন উপায়

গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি মৌসুমী সবজি যা ঢাকা শহরে সারাবছরই পাওয়া যায়। সুস্বাদু যে কোনো খাবার বার বার খেতে বিরক্ত ও বিস্বাদ লাগে। কিন্তু বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সবজিটি খাওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। হালুয়া পায়েসসহ বিভিন্ন উপায়ে গাজর খেতে পারেন। গাজরের কয়েক পদের ফিরিস্তি তুলে ধরা হলো:

গাজরের হালুয়া

gazar-halwa
গাজরের হালুয়া পরিবেশনা

গাজর যতভাবে খাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু হচ্ছে গাজরের হালুয়াশবে বরাতে গাজরের হালুয়া বানানো একটি কমন আইটেমে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ গাজর আপনার বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য হালুয়া বানিয়ে দিতে পারেন। এতে স্বাদে যেমন ভিন্নতা আসবে তেমনি উপস্থাপনার ঢংয়েও পরিবর্তন আসবে। রেসিপি পেতে দেখুন: বাসায় গাজরের হালুয়া বানানোর সহজ রেসিপি পোস্টটি।

গাজরের পায়েস

gazor-payes (গাজরের পায়েস)
গাজরের পায়েস

গাজরের পায়েস গাজরের হালুয়ার তুলনায় কম সুস্বাদু না। সঠিকভাবে রান্না করতে পারলে গাজরের পায়েস হালুয়ার স্বাদকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ১-২ বছর বয়সী বাচ্চারাও গাজরের পায়েস পছন্দ করে থাকে। চিনি দুধ দিয়ে গাজরের পায়েস রান্না করা হয়। গাজরের পায়েসের রেসিপি পেতে ক্লিক করুন: সুস্বাদু গাজরের পায়েসের রেসিপি পোস্টটিতে।

গাজরের ভাজি/সবজি

gazor-vegitable (গাজরের সবজি রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে)
গাজরের সবজি রান্নার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে

গাজর এমন একটি সবজি যা ভাজি করে তরকারি হিসেবে খাওয়া যায়। আলু, শিম বা আরও মৌসুমী সবজি দিয়ে গাজরের ভাজি করা যায়। গাজরের এই ভাজি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়।

রুটি দিয়ে গাজরের ভাজি একটি সেই উপাদেয় খাবার। এছাড়াও গাজর ঝোল তরকারি হিসেবে রান্না করা যায়। মাছের সঙ্গে আলু গাজর দিয়ে রান্নাও খুব সুস্বাদু হয়।

গাজরের সালাদ

গাজরের সালাদ

সালাদ যেকোনো খাবারে নতুন মাত্রা যোগ করে। আর সালাদ হিসেবে গাজরের জুড়ি মেলা ভার। শসা, টমেটোর মতো গাজরও সালাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

রান্না করে বা অন্য উপায়ে গাজর খেতে ভাল না লাগলে বা সময় না পেলে সালাদ করে গাজর খেতে পারেন।

আরও পড়ুন:  বাসায় রান্না করার গরুর মাংসের বিরিয়ানির সহজ রেসিপি

গাজরের সালাদ কিভাবে বানাবেন তা দেখার জন্য ক্লিক করতে পারেন: কিভাবে বানাবেন মজাদার স্বাদের গাজরের সালাদ

গাজরের জুস

গাজরের জুস
গাজরের জুস

সারা দিনের ঘোরাঘুরির ক্লান্তি এড়াতে খেতে পারেন গাজরের জুস। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সারা দিন সতেজ থাকতে সকালে খেয়ে নিন এক গ্লাস গাজরের জুস। গাজরের জুস বানানো অত্যন্ত সহজ।

কিভাবে গাজরের জুস বানাতে হয় তা জানতে গাজরের জুস বানানোর সহজ প্রক্রিয়া লেখাটি পড়ে নিন।

ক্ষুধা নিবারণে গাজর খাওয়া

এতোক্ষণ তো গাজর খাওয়ার বিভিন্ন উপায় দেখলেন। কিন্তু আপনি যদি খুবই অলস প্রকৃতির হন, তাও আাপনার জন্য গাজর খাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আপনাকে কিছুই করতে হবে না। শুধু পানি দিয়ে ভালভাবে ধৈাত করে আপনি কাঁচা গাজর খেয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য আপনাকে কোনো কষ্ট করতে হবে না।

গাজর কেনো খাবেন? গাজরের পুষ্টিগুণের কোনো তুলনা নেই। গাজরে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’,। গাজর খেয়ে শরীরের ডায়েট করা যায়, গর্ভবতী নারীদের গাজর অনেক উপকার করে। এছাড়া ত্বকের পরিচর্যায় গাজর বহুল ব্যবহৃত। গাজরের পুষ্টিগুণ জানার জন্য দেখুন: গাজরের পুষ্টিগুণ ও আমাদের শরীরের কি কি উপকারে আসে।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *